দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন নুরুল হাসান সোহান। ধারাবাহিক সাফল্যে তাকে জাতীয় দলের ফেরানোর দাবি ওঠে। সে দাবি বাস্তবায়ন হয় গত বছরের জুনে, জিম্বাবুয়ে সফরে।
তিন বছরের বেশি সময় পর আবার লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপান এই উইকেটরক্ষক। এরপর নিয়মিত জাতীয় দলের সঙ্গী তিনি। আছেন উইন্ডিজ সফরের তিন ফরম্যাটের স্কোয়াডে।তবে ক্যারিবীয় সফরের শুরুটা সুখকর হয়নি সোহানের।
প্রথম টেস্টে একাদশে সুযোগ পেয়ে প্রথম ইনিংসে রানের খুলতে পারেননি এই ডানহাতি। তার আউটের ধরণ আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। কাইল মায়ার্সের ইনসুইংগার খেলার চেষ্টা না করে পা বাড়িয়ে দেন। আউট সাইড অফের পিচ করা বল লাগে পায়ে।
ইমপ্যাক্ট আউটসাইড হলেও সোহান যেহেতু ব্যাট চালাননি, সেজন্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও পার পারননি।এই ঘটনার পর প্রিয় শিষ্য সোহানকে ফোন করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। তবে অনেক সময় সোহান তার ফোন ধরেন না।
এজন্য পরে আর যোগাযোগ করেননি বাবুল।আজ রোববার মিরপুরে সোহানের সেই আউট প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘আমি অনেক দিন সোহানের সঙ্গে কাজ করি, তো ওই আউটটা দেখার পর আমার কাছে আসলে ভালো লাগেনি। তাকে ফোনও করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অনেক সময় সে আমার ফোন ধরে না।
চিন্তা করে স্যার আমাকে বকা দিবে।’দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাসিয়েছেন সোহান। নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সঙ্গে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন তিনি। পরের ইনিংসে এমন প্রত্যাবর্তন দেখে ভালো লেগেছে বাবুলের।বাবুল বলেন, ‘কালকে যে ব্যাটিং দেখেছি, অনেক গোছানো ছিল। তার ওপর একটা চাপও আছে, সে জাতীয় দলে জায়গাটা পাকা করতে চাচ্ছে।
পরপর দুইটা সুযোগ হয়েছিল এর আগের টেস্ট ম্যাচগুলোতে পাকিস্তানের সাথে, এরপরে নিউজিল্যান্ডেও সুযোগ এসেছিল। তার সঙ্গে যতটুকু কথা হয়েছে, এই সুযোগটা নিতে হবে।
ভবিষ্যতে যদি এই সুযোগগুলো আসে তাহলে যাতে মিস না করে। তো প্রথম ইনিংসে না পারলেও, সে দ্বিতীয় ইনিংসে চেষ্টা করেছে এবং আমি যতটুকু দেখেছি, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।’