শনিবার সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না ব্যাড প্যাচের (খারাপ সময়) মধ্যে আছি। যদি বিশ্বাস করি তাহলে এটা থেকে বের হতে পারব না। আমার কাছে মনে হয় আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, দলের ওপর অনেক আত্মবিশ্বাসী।
সবাই সবার সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে পারবে ইনশাআল্লাহ্।সঙ্গে যোগ করেন মুমিমুল, ‘আমি ভালো খেললে জয়ের সম্ভাবনা বাড়বে এটা আমার কাছে কোনোভাবেই মনে হয় না। তাহলে অন্য খেলোয়াড়রা কী? শুধু আমার পারফরম্যান্স কোনো ম্যাটার করে না।মুমিনুল ব্যাট হাতে শেষ ১১ ইনিংসে কোনো অর্ধশতকের দেখা পাননি। দস্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ৪ ইনিংসে করেছেন মোটে ৬২ রান। কোনো ম্যাচেই ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি।
সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ৪ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ রান। দুই অঙ্কের কোটার দেখা পাননি। জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ৭ ইনিংসে তার ব্যাটে ফিফটি নেই। সেঞ্চুরি বঞ্চিত ১৬ ইনিংস ধরে। সময়ের হিসেবে সেটি ১৫ মাস ছাড়িয়েছে।তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা বলেই মুমিনুলের পক্ষে বাজি রাখা যায়, পরিসংখ্যান অবশ্য সে কথাই বলছে। টেস্ট ক্যারিয়ারে যে ১১টি সেঞ্চুরি আছে মুমিনুলের, তার ৪টি লঙ্কানদের বিপক্ষে। মজার ব্যাপার হলো যার ৩টি এসেছে লঙ্কান সিরিজের প্রথম টেস্টের ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
তবে মুমিনুল নিজে কোনো প্রেরণা পাচ্ছেন না।টেস্ট দলের অধিনায়কের জবাব, ‘শ্রীলঙ্কার সাথে খেললে ভালো খেলব এমন কোনো প্রেরণা কাজ করে না। জোড়া সেঞ্চুরিই হয়ত। খারাপ সময় যাচ্ছিল, চাপে ছিলাম।
যেগুলো ভালো খেলি সেগুলোই তো সবচেয়ে ভালো।’ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা পুষিয়ে দিতে শ্রীলঙ্কা সিরিজে নিয়মিত হাত ঘোরাতে দেখা যেতে পারে পার্টটাইম এই স্পিনারকে। আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে সে ইঙ্গিত দিলেন মুমিনুল নিজেই।মুমিনুল বলছিলেন, ‘হ্যাঁ করছি ইনশাআল্লাহ্। আজকে অনেকক্ষণ বল করলাম। আমি চেষ্টা করছি। নিজেকে তৈরি করছি ইনশাআল্লাহ্। যেহেতু কোচ বলেছেন, অবশ্যই করতে হবে।’